0 দিয়ে পথ শুরু ৬০৬ রানে থামলেন সাকিব

বিশ্বকাপ শুরুর আগে ভারতের সাথে প্রস্তুতি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আইসিসি র‍্যাংকিং এর নাম্বার ওয়ান বোলার ভুমরার প্রথম বলেই বোল্ট আউট হয়েছিলেন তিনি।

কে জানত তার পরের আটটি ম্যাচের সাতটিতেই তিনি পঞ্চাশ এর বেশি রান  করবেন এবং নামের সাথে ৬০৬ স্কোর যোগ করবেন ? শ্রীলংকার সাথে একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।আর যে ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি পান নি সেটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সেই ম্যাচে তিনি ৪১ রান করেছিলেন।

শুধু যে ৭ টি ম্যাচে পঞ্চাশ পার করেছেন তা না করেছেন ২ টি সেঞ্চুরিও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দের সাথে করেছেন অপরাজিত ১২২ রান। যা বাংলাদেশকে ৩২২ রান তারা করে জিততে সহায়তা করেছিল। শুধু যে ব্যাট হাতেই দারুণ সময় পার করেছেন তা না বল হাতেও সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন এবং দলের জন্য বিশেষ ভুমিকা রেখেছেন এ বামহাতি অলরাউন্ডার। তার বেস্ট বোলিং ফিগার ছিল ২৯ রানে ৫ উইকেট।
বিশ্বকাপ এ ৫০০+ রান এবং ১০+ উইকেট নেয়া প্রথম অলরাউন্ডার বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ জিতেছেন ৩ টি।
দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে খুশি হয়েছেন বলেছেন সংবাদ সম্মেলন এ।

বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব আল হাসান। সাকিবের সাথে আরও ২/৩ জন খেলোয়ার ধারাবাহিক পারফরমেন্স করলে হয়ত বাংলাদেশ অনেক দূরে পৌছাত পারত।
সেমিফাইনাল না খেলে এক রাশ হতাশা নিয়ে দেশে ফিরতে হতো না।
আমরা আশাবাদী আমাদের দেশে আরও অনেক সাকিব আল হাসান তৈরী হবে। দেশের পতাকা বিশ্বে দরবারে পেশ করবে।
তার আগে অপেক্ষা করতে হবে আরও একাটি বিশ্বকাপ এর। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কে এখন থেকেই তার খোজ করতে হবে।

view my next post 

1 comment:

Theme images by imagedepotpro. Powered by Blogger.